ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জানতে পড়ুন

আপনারা অনেক সময় ইন্ডিয়ান ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। যদি ইন্ডিয়ান ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি পড়ুন। আশা করি ইন্ডিয়ান ভিসা করার আগে পড়লে উপকৃত হবেন।

বর্তমান সময়ে ইন্ডিয়ান ভিসা অনেক জনপ্রিয়। কেননা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। ইন্ডিয়ান ভিসা ৭ থেকে ১ মাসের মধ্যে পাওয়া যায়, কিন্তু অনেক সময় ডকুমেন্টে ভুল তথ্য থাকলে ভিসা রিজেক্ট হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন টুল সম্পর্কে বিস্তারিত গাইডলাইন

ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করুন যে, ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য যে ডকুমেন্ট আপনার কাছে থাকা লাগবে বা আপনাকে আবেদনপত্র জমা করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো:

• সদ্য তোলা ছবি আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে। ছবির মাপ যেন ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি হয় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে।
• আবাসস্থলের কাগজপত্রের সাথে বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ইউটিলিটি বিল, যেমন বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিলের কপি দিতে হবে।
• চাকুরী জীবীর ক্ষেত্রে পেশার কাগজপত্রের সনদ নিতে হবে। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। বিজনেসের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের সনদপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
• এপ্লিকেশন ফরমে নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারীকে তাদের ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। ভিসা আবেদনকারীকে অবশ্যই নিশ্চিত থাকতে হবে যেন বর্তমান মূল পাসপোর্টের জন্মতারিখ এবং জন্মস্থানের সাথে পুরোনো পাসপোর্টের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন সনদের মিল থাকে।

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স বিস্তারিত

অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তা

ভিসার আবেদনপত্রের সাথে সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সব পুরোনো পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভারতীয় ভিসা এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ সময়ের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়।

ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রসমূহ

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় মোট ১৬টি ভারতীয় ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) রয়েছে। সেগুলো ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, সাতক্ষীরা, বগুড়া, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা এবং কুষ্টিয়াতে অবস্থিত।

সব ধরণের ভারতীয় ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময়ের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন কিভাবে করবো

ভিসা ফি এবং অন্যান্য তথ্য

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসার আবেদন করতে ভিসা ফি ৮০০ টাকা, সাথে আরও কিছু ভ্যাট দিতে হবে। বিদেশি নাগরিকদেরও ভিসার ফি প্রদান করতে হবে, যদি তারা ভারত সরকারের আদেশের অধীনে থেকে রেয়াত না পান।

ভারতীয় ভিসার জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন। যেকোনো আইভ্যাকে আবেদনকারী ভিসা প্রসেসিং ফি (ভিপিএফ) প্রদান করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং ফি অফেরতযোগ্য। বাংলাদেশ, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, জ্যামাইকা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ডিপিআর কোরিয়া, এবং উরুগুয়ের নাগরিকদের উপর ফ্রি ভিসা জারি করা হবে। সীমাবদ্ধ সুরক্ষিত এলাকার পারমিটের জন্য (পিএপি আরএপি) এই দেশগুলোর নাগরিকদের কাছ থেকে কোন ফি ধার্য করা হবে না। ১লা জানুয়ারি, ২০১৫ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনের সংশোধিত ভিসা প্রসেসিং ফি প্রযোজ্য হয়েছে।

ভারতীয় ভিসা ফি ৫ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৮০০ টাকা নির্ধারিত হয়। এই প্রথম ভিসা ফি ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে পরিবর্তন হল। গত চার বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি এবং বর্ধিত ব্যয়ভার বহনে এই ফি পরিবর্তন হয়েছে। সুবিধার ফি স্থানীয় পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারী দ্বারা চার্জ করা হয় – ২৪ টাকা।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি?

নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ

ইন্ডিয়ান ভিসা কেন্দ্রে এই সব বস্তুসমূহ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সে সম্পর্কে। ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্রে উপরোক্ত নিষিদ্ধ উপাদানসমূহ জমা রাখার জন্য কোন সুবিধা নেই। ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই আবেদনকারীদের উপাদানগুলোর বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে।